‘…আমাকে দেখে অনেকে বিতৃষ্ণা প্রকাশ করছেন’, হঠাৎ মুখে এ কেমন বুলি মেঘার? – Bengali News | This is what actress megha daw said about her career and life

স্নেহা সেনগুপ্ত
সম্প্রতি ‘কথা’ সিরিয়ালে অভিনয় করছেন ছোট পর্দায় অভিনেত্রী মেঘা দাঁ। প্রচণ্ড শয়তানি করছেন তিনি। দোলে নায়িকা কথা (অভিনেত্রী সুস্মিতা দে)-কে গাঁজা পাতা মেশানো ঠান্ডাই খাইয়ে দিয়েছে সেই ভ্যাম্প। এই প্রথম মেঘাকে খলনায়িকার চরিত্রে দেখা যাচ্ছে। নায়িক অভি (অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য)-র সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল এই খলনায়িকার। নায়ককে না পেয়ে নায়িকার উপর তাই প্রতিশোধ নিচ্ছে।
এই খবরটিও পড়ুন
‘কথা’ সিরিয়ালে শয়তানি করার আগে ‘পিলু’ সিরিয়ালে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মেঘা। সেই সিরিয়ালে তিনিই ছিলেন নায়িকা এবং অসম্ভব পজ়েটিভ (পড়ুন ইতিবাচক) একটা চরিত্র ছিল সেটা। প্রথম সিরিয়ালে নায়িকা হয়ে পরের সিরিয়ালেই তাঁর খলনায়িকা হওয়ার বিষয়টায় অনেকেই হয়তো অবাক হয়েছেন। কিন্তু মেঘা বিষয়টিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই গ্রহণ করে নিয়ে TV9 বাংলাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমি কিন্তু শয়তানি করেও দারুণ আনন্দ পাচ্ছি। এটা তো একটা চ্যালেঞ্জ। আমি প্রথম সিরিয়ালে নায়িকা ছিলাম বলে পরপর সব সিরিয়ালেই আমাকে নায়িকা হতেই হবে, না হলে আমার গরদান যাবে, এমন কোনও কাগজে তো সই করিনি। ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করতে পারাটা খুব চ্যালেঞ্জিং এবং সেই চ্যালেঞ্জ আমি সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছি অনেক আগেই।”
একবার ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করলে পরপর ভিলেনেরই অফার আসতে থাকে–এই স্টিরিওটাইপ হওয়ার ভয় কি এক্কেবারেই নেই মেঘার মনে। অভিনেত্রী বললেন, “এক্কেবারেই নেই। এভাবে আমি কিন্তু বিষয়টাকে দেখি না। আমার কাছে অফার এসেছে। আমি অফারটাকে অ্যাকসেপ্ট করেছি।” কিন্তু নায়িকা হলে যে ভালবাসা জোটে, খলনায়িকা হলে কিন্তু তা আর জোটে না। দর্শক প্রচণ্ড মারমুখী হয়ে ওঠেন। এই প্রসঙ্গে মেঘার সংযোজন, “এমন অভিজ্ঞতা মাচাতে গিয়েও আমার এখনও পর্যন্ত হয়নি। দর্শক মারমুখী হননি। কিন্তু আমাকে দেখে অনেকে বিতৃষ্ণা প্রকাশ করেছেন। সেটাই তো আমার পুরস্কার। এতেই আমি সফল!”
নাচে পারদর্শী মেঘা সময় পান না নিজের জন্য। তবে ২৩ বছরের অভিনেত্রীর মধ্যে ক্লান্তিভাব নেই বললেই চলে। নাচের রিয়্যালিটি শো থেকে লাইমলাইটে উঠে এসেছেন মেঘা। ফলে নাচকে তিনি কিছুতেই বাদ দিতে পারেন না। বলেছেন, “আমি ল্যাদ খাই না একদম। আমার মধ্যে প্রচুর জীবনীশক্তি আছে। শুটিংয়ের সময় অনেকটাই। সারাদিন শুটিং করে বাড়ি ফিরে সত্যি সুযোগ পাওয়া যায় না আর কাজ করার। কিন্তু আমি সময় বের করে নিই। একদম ল্যাদ খাই না।”
মেঘার কেরিয়ারকে দাঁড় করানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন তাঁরা বাবা-মাও। মা সোমা দাঁ-ই সব কিছুর দায়িত্বে। ব্যস্ত অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী মেঘার ম্যানেজার তাঁর মা-ই। অভিনেত্রী বলেছেন, “আমার মা-ই সবটা দেখেন। মাচায় কত টাকা নেব সেটাও জানেন আমার মা-ই। মাকে ছাড়া আমি এক পাও চলতে পারি না। বাবা-মা না থাকলে আজ আমি এই জায়গায় আসতামই না।”