Sand Racket: অজয়-পাড়ে দেদার বালি ‘চুরি’! সবই নাকি ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং’-এর চোরাবালি
মঙ্গলকোট: পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট। উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে অজয় নদ। আর সেই অজয় নদের দু’ধার দিয়েই যথেচ্ছভাবে বালি চুরির অভিযোগ। অভিযোগ উঠছে, অবাধে বালি চুরি হয়ে যাচ্ছে অজয় নদের পাড় থেকে। কোনওরকম অনুমতি ছাড়াই পাইপ লাইন ও জেসিবি মেশিন ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকার বালি চুরি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এর ফলে সরকারি রাজস্বে ক্ষতি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের অভিযোগ, ‘শাসক দল, পুলিশ, বিএলআরও’র বোঝাপড়ার মাধ্যমেই এটা হয়। মাঝে মাঝে রেইডের নামে নাটক হয়। সবটাই আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এর মাধ্যমে হচ্ছে।’
বিজেপির অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে বার বার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাঁরা। কাটোয়ার এসডিও-র কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে দাবি। কিন্তু কাজের কাজ বিশেষ কিছুই হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলছেন বিজেপির মঙ্গলকোট বিধানসভা এলাকার আহ্বায়ক অলোকতরঙ্গ গোস্বামী। এদিকে বিজেপির তরফে এই অভিযোগ তোলার পর ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিক অবশ্য দায় ঠেলছেন পুলিশের দিকেই। ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিক রাহুল ঘোষের বক্তব্য, যখনই তাঁরা কোনও অভিযোগ পাচ্ছেন, সঙ্গে সঙ্গে রেইড করা হচ্ছে সেই এলাকায়। এই প্রক্রিয়া নিয়মিতভাবে চলে।
সঙ্গে ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের আরও দাবি, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে মঙ্গলকোট থানায় একটি এফআইআর-ও করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তাহলে কি প্রশাসনের অভিযোগের পরও পুলিশের টনক নড়ছে না? এই প্রশ্নও উঠে যাচ্ছে। যদিও ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের স্মিত হেসে বক্তব্য, ‘সেটা তো তাদের (পুলিশের) ব্যাপার, তারা বলতে পারবেন বিষয়টি।’
বালি চুরির এই অভিযোগ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল কাটোয়ার মহকুমা শাসক অর্চনা পি ওয়াংখেড়ের সঙ্গেও। তিনিও বলছেন, ‘বিএলআরও বলেছেন এফআইআর করা হয়েছে। আমিও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এই সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করব আমি।’