State Budget WB: ‘কোথা থেকে আসছে টাকা?’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন অর্থনীতিকদের – Bengali News | Economist raises question on state budget announced by Chandrima bhattacharya
অর্থনীতিবিদ সুপর্ণ মৈত্র ও অনির্বাণ দত্তImage Credit source: TV9 Bangla
কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষবার বাজেট পেশ করল রাজ্য সরকার। বাজেট যে জনমোহিনী হবে, একথা আগেই অনুমান করেছিলেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। বৃহস্পতিবার বাজেট পেশ হওয়ার পর বুঝতে অসুবিধা হল না যে সাধারণ মানুষ, বিশেষত প্রান্তিক মানুষদের কথা মাথায় রেখেই এই বাজেট পেশ হয়েছে। বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা। অর্থাৎ ৫০০ টাকার বদলে এবার থেকে ১০০০ টাকা করে পাবেন মহিলারা। এছাড়া গ্রিন পুলিশ, সিভিক পুলিশদের ভাতা, মিড ডে মিলের রাঁধুনিদের ভাতা বাড়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই সব ক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতিবিদ সুপর্ণ মৈত্র বলেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে যে টাকা বাড়ানো হল, তাতে আমার প্রশ্ন, এই টাকা কোথা থেকে আসবে? এত টাকা জোগাড় করবেন কোথা থেকে? এমন অর্থনীতি চালানোর আমি বিরোধিতা করি।” তাঁর দাবি, এই সব ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ার ফলে দিনে দিনে রাজ্যে ‘ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচারে’ বরাদ্দ কমছে।
তিনি আরও মনে করেন, এমন সব ক্ষেত্রে রাজ্য ব্যায় বাড়াচ্ছে, যেখান থেকে কোনও আয় হচ্ছে না, করের বোঝাও কমছে না। এভাবে একটা অর্থনীতিকে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ১০০ দিনের কাজের টাকা কীভাবে কোনও রাজ্যের সরকার দিতে পারে সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
আর এক অর্থনীতিবিদ অনির্বাণ দত্ত এই প্রসঙ্গে ভোটব্যাঙ্কের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ভোটের জন্য প্রান্তিক মানুষদের কথা মাথায় নিয়ে চলতে হচ্ছে সরকারকে। তাদের সুবিধা মতো কিছু ঘোষণা করা হয়েছে। সামাজিক প্রকল্পে প্রান্তিক মানুষকে সুবিধা দিতে চাইছে রাজ্য। তবে অর্থনীতিবিদের দাবি, রাজ্যে যেমন প্রান্তিক মানুষ আছেন, তেমনই আছেন বেকার বা কর্মহীন মানুষও। তারাও তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে।
উল্লেখ্য, শুধুমাত্র বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাতাই বাড়ানো হয়নি, রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথাও ঘোষণা করা হয়েছে।