Mid Day Meal: মিড ডে মিলের থালার পাশেই বসে থাকে কুকুর-ছাগল, ছাদ জোটেনি ৩ বছরেও – Bengali News | School building has no roof, students eating mid day meal with dog, goat in Purba Burdwan
এভাবেই মাঠে বসে চলে খাওয়া-দাওয়াImage Credit source: TV9 Bangla
পূর্বস্থলী: শিশুরা থালায় খাবার নিয়ে বসে আছে খোলা মাঠে। মাথার ওপর ছাদ নেই, মাঠের বাইরে পাঁচিল নেই। কুকুর, ছাগল, হাঁস, মুরগী- সবার অবাধ যাতায়াত। মাঠে উড়ছে ধুলো। তার মধ্যেই মিড ডে মিল-এর খাবার খাচ্ছে ক্ষুদে পড়ুয়ারা। যে কোনও দিন গেলেই এমন ছবি দেখা যাবে। সেই আমফান ঝড়ে ছাদ উড়ে গিয়েছে। তারপর থেকে প্রায় ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও ছাদ জোটেনি। শুধু তাই নয়, স্কুলের ভিতরের অবস্থাও একই রকম। ফাটল ধরা দেওয়াব, ভগ্ন ক্লাস রুমে যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে অঘটন। এই আশঙ্কাতেই সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর আগে দুবার ভাবছেন অভিভাবকেরা। তাঁদের দাবি, বারবার কর্তৃপক্ষকে বলেও কোনও লাভ হচ্ছে না।
পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের লক্ষ্মীপুরের পশ্চিম আটপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দৃশ্য এটা। স্কুলের প্রি প্রাইমারি ও প্রথম শ্রেণির কচিকাঁচারা ক্লাস করে ভগ্নপ্রায় ঘরে। জানা যায়, স্কুলে পর্যাপ্ত ক্লাস রুম নেই। খোদ প্রধান শিক্ষকই স্বীকার করছেন সে কথা। নেই স্কুলের বাউন্ডারি ওয়াল। খোলা আকাশের নীচে বসে মিড ডে মিল খাওয়া ছাড়া আর উপায় নেই স্কুলের কাছে। রান্নাও হয় মাঠেই।
বিগত কয়েক বছর ধরেই এমন বেহাল অবস্থা বলে জানাচ্ছেন এক পড়ুয়ার অভিভাবক চম্পা বিবি। স্কুলটিতে আবার সদ্য পঞ্চম শ্রেণি যুক্ত হয়েছে। কিন্তু ক্লাস রুম জোটেনি বলেই জানিয়েছেন শিক্ষিকা। স্কুলের শৌচালয়েরও বেহাল দশা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেভাবে ক্লাস করানো হচ্ছে, তাতে ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবক থেকে গ্রামবাসীরা।
এই খবরটিও পড়ুন
প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ গোপাল মণ্ডল স্পষ্ট ভাষায় স্বীকার করেছেন, ক্লাস করার ঘর নেই। এই দাবি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন তিনি। প্রধান শিক্ষক বলেন, “ওঁরা আশা দিয়েছেন। স্কুলের অবস্থা নিয়ে আমরাও চিন্তিত। দ্রুত যাতে ক্লাসরুম তৈরি করে তার আবেদন জানানো হয়েছে।” আর মিড ডে মিলের ঘর? প্রধান শিক্ষক জানান, টিনের শেড একটা ছিল তবে আমফানের ঝড়ে উড়ে গিয়েছে।
উত্তর চক্রের স্কুল পরিদর্শক উজ্জ্বল রায়ের বক্তব্য, বেহাল স্কুলের ঘরের কথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্র কাজ হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট জায়গায় সব রিপোর্ট জমা করা হয়েছে। তবে, মিড ডে মিলের বিষয়টা তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন পরিদর্শক। তবে সে সুদিন কবে আসবে? তার উত্তর নেই পড়ুয়া ও অভিভাবকদের কাছে।