Sujay Krishna Bhadra: কণ্ঠস্বরে বদল অসম্ভব নয়, তাহলে কীভাবে কাজ করে ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট – Bengali News | Recruitment Scam Sujay Krishna Bhadra JOKA ESI Hospital, How much effective is Voice Sample Test
কলকাতা: কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের ‘কাকু’কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জোকা ইএসআই হাসপাতালে। প্রায় সাড়ে চার মাস পর অবশেষে কাকুকে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বের করতে পেরেছে ইডি। তবে সুজয় ভদ্র যখন দীর্ঘদিন ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে ছিলেন এবং তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে টানাপড়েন চলে যাচ্ছিল, সে সময় এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠে এসেছিল। চিকিৎসার নাম করে নাকি কাকুর গলার স্বর পাল্টে ফেলার চেষ্টা চলছিল। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল এসএসকেএম। কিন্তু সত্যিই কি কারও কণ্ঠস্বর বদলে যেতে পারে? বুধবার যখন কাকুকে জোকা ইএসআইতে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন টিভি নাইন বাংলায় এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল চিকিৎসক শারদ্বত মুখোপাধ্যায়কে।
কোনও ব্যক্তির কণ্ঠস্বরে বদল আসা যে একেবারে অসম্ভব নয়, সে কথা মানছেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শারদ্বত মুখোপাধ্যায়। তাঁর ব্যাখ্যা, যদি কারও ভোকাল কর্ডে ক্যানসার হয় এবং যদি রেডিয়েশন থেরাপির মাধ্যমে সেটির চিকিৎসা হয়, তাহলে অনেকক্ষেত্রেই কণ্ঠস্বর বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যখন কাকুর কণ্ঠস্বর বদলের অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল, সেই সময় টিভি নাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্তের সঙ্গেও। তিনিও সেই সময় জানিয়েছিলেন, কণ্ঠস্বরের বদল অসম্ভব নয়। তাঁর ব্যাখ্যা ছিল, “কণ্ঠস্বরের বদল সম্ভব। অনেকের ভয়েসে সমস্যা থাকে। তা ঠিক করে দেওয়া হয়। তার জন্য অস্ত্রোপচারও করা হয়।” তবে কণ্ঠস্বর যদি বদলেও যায়, তাও ভয়েস স্যাম্পেল পরীক্ষায় তা ধরা না পড়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন তিনি। জানিয়েছিলেন, “সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কণ্ঠস্বরের পিচ বা অ্যাম্পলিটিউড বদলে ফেলা গেলেও, তিন কথা বলার সময় কোথায় শ্বাস নিচ্ছেন, সেই পদ্ধতি পাল্টে ফেলা বোধ হয় মুশকিল।”