CAA Implementation: ‘লোকসভা ভোটের আগেই দেশজুড়ে CAA লাগু’, গ্যারান্টি দিলেন শান্তনু ঠাকুর – Bengali News | Union Minister Shantanu Thakur assures CAA will be implemented before Lok Sabha Election 2024
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরImage Credit source: Facebook
বালি: লোকসভা ভোটের মুখে তপ্ত হচ্ছে বাংলার রাজনীতির বাতাবরণ। চলছে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের পালা। আর এসবের মধ্যেই বড় দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের। আসন্ন লোকসভা ভোটের আগেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯ বা সিএএ লাগু হয়ে যাবে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। এদিন হাওড়ার বালিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বললেন, “রুল ফ্রেম হয়ে গেলেই আমরা সিএএ লাগু করব। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে ভারতে সিএএ কার্যকর হয়ে যাবে।”
উল্লেখ্য, দিল্লিতে দ্বিতীয় মোদী সরকার গঠনের পরই ২০১৯ সালে এই নাগরকিত্ব সংশোধনী আইন পাশ করানো হয়েছিল। কিন্তু মাঝে বেশ কয়েকটি বছর কেটে গেলেও, সেই আইন এখনও কার্যকর হয়নি। কেন আইন এখনও কার্যকর হচ্ছে না তা নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা যেমন হয়েছে, তেমনই আমজনতার মধ্যেও কৌতুহল তৈরি হয়েছে বিস্তর।
মানুষের সেই কৌতুহলের বিষয়টিও আজ তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। শান্তনু ঠাকুর বলেন,”সিএএ কার্যকর করতে কোনও অসুবিধা নেই। অনেকেই ব্য়াকুল হয়ে পড়ছেন যে কেন এটা এখনও লাগু হচ্ছে না। কিন্তু সিএএ শুধু এক-দুই বছরের সমস্যা নয়। এটি দীর্ঘ ৭৫ বছরের সমস্যা।” তাঁর ব্যাখ্যা, বিভিন্ন ভৌগোলিক, ধর্মীয় ও সামাজিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যখন এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করতে হবে, তার একটি রুল ফ্রেম করা প্রয়োজন। সব দিক মাথায় রেখে রুল ফ্রেম করতে হচ্ছে এবং সেই কারণে সময় লাগছে।
তবে একইসঙ্গে আশ্বস্ত করে তিনি জানিয়ে দেন, অবশ্যই এই আইনের রুল ফ্রেম করা হবে এবং লোকসভা ভোটের আগেই তা কার্যকর হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি ঠাকুরনগরে মতুয়া মহাসংঘের ঠাকুরবাড়ির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। লোকসভা ভোটের মুখে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে শান্তনু ঠাকুরের এই দাবি ঘিরে নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
উল্লেখ্য, ঠাকুরবাড়ির অপর এক গুরুত্বপূর্ণ মুখ মমতাবালা ঠাকুর আবার তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদও তিনি। সম্প্রতি নাগরিকত্ব ও এনআরসি-র ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন তিনিও। নাগরিকত্ব না পাওয়া গেলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন মমতাবালা ঠাকুররা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এদিনের দাবি প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়ের সঙ্গে। তিনি অবশ্য বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন, বাংলায় সিএএ চালু হবে না। এরপর তো আর কোনও কথা নেই। ওরা সিএএ-র নামে নির্বাচন করতে চাইছে।”