Vastu Tips for Temple: জীবনে এগিয়ে যেতে হলে ঠাকুরঘর থেকে আগে সরান এই জিনিসগুলি! – Bengali News | Vastu Tips for Temple: Remove these things from around your temple
পুজোর ঘর হল ঘরের মধ্যে সবচেয়ে পবিত্র ও শুদ্ধ জায়গা। বাস্তু অনুসারে, বাড়ির সবচেয়ে পরিষ্কার জায়গা হল ঠাকুরঘর। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই পবিত্র জায়গায় যেমন আরাধনা-সাধনার কাজকর্ম চলে, তেমনি সেই জায়গায় ভুল বাস্তুর কারণে জীবনে ঘনিয়ে আসতে পারে নানা সমস্যার ঝড়। তাই বাড়ির মন্দিরের পবিত্রতা বজায় রাখার জন্য বেশ কিছু কথা মাথায় রাখা জরুরি। কারণ বাস্তু নিয়মগুলি না মানলে অশুভ শক্তি, নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বেড়ে যায় দ্বিগুণ। হিন্দু ধর্মে, আধ্যাত্মিক চেতনার জাগ্রত করার জন্য বাড়িতে ঠাকুরঘরের ব্যবস্থা করার নিয়ম। সেখানেই ঈশ্বরের প্রতি সম্মান দেখানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম। মনে করা হয়, প্রতিদিন পুজো-উপাসনা করা হলে নেতিবাচক শক্তি ঘর থেকে দূরে থাকে। বাড়ি জুড়ে শুধু পজিটিভিটি বজায় থাকে। তবে বাস্তুমতে, মন্দিরের কাছে বা চারপাশে এই জিনিসগুলি রাখা থাকলে তা উল্টে আপনার জন্যই খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
এই ছবি আজই সরিয়ে ফেলুন
যদি বাড়ির মন্দিরের বা ঠাকুরঘরের চারিপাশে পিতৃপুরুষদের ছবি রাখেন, তাহলে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে গোটা সংসারের উপর। কুনজর এড়াতে পূর্বপুরুষদের ছবি সরিয়ে ফেলতে হবে। পূর্বপুরুষের ছবি রাখার জন্য দক্ষিণ দিককে সেরা বলে মনে করা হয়।
এই খবরটিও পড়ুন
মন্দিরে এই জিনিসগুলি সরিয়ে ফেলুন
যদি মন্দিরের কাছে বিকৃত ধর্মীয় বই রাখেন তবে এটি নেতিবাচকশক্তি বৃদ্ধি পায় বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া মন্দিরে শুকনো ফুল রাখাও শুভ বলে মনে করা হয় না। তাই ভগবানকে নিবেদন করা ফুল শুকিয়ে গেলে তা ফেলে দিতে পারেন।
ঠাকুরঘরে শঙ্খ শুভ রাখা উচিত
ঠাকুরঘরে অনেকেই শঙ্খ রাখেন। প্রতিদিন সন্ধ্যের সময় শঙ্খ বাজান। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্রে বলা আছে মন্দিরে একটির বেশি শঙ্খ রাখা উচিত নয়। তাতে বাস্তু দোষের রোষে পড়তে হতে পারে। সেই সঙ্গে ঘরে শনিদেবের মূর্তি রাখাও শুভ বলে মনে করা হত না।
এমন মূর্তি রাখবেন না
ঠাকুরঘরে ভগবানের রুদ্র মূর্তি রাখা মোটেও ঠিক নয়। সেই সঙ্গে মন্দিরে ভাঙা মূর্তিও না রাখা উচিত। ঠাকুরঘরের কোনও মূর্তি যদি ভাঙা হয়ে থাকে, তাহলে সেই অবস্থাতেই বিসর্জন করে দেওয়া উচিত।