Maa Sarada: সাদা বোঁদে আর জিলিপি ছিল অমৃত, সারদা মায়ের আর প্রিয় খাবার কী ছিল, জানেন? - Bengali News | What was Maa Sarada 's favorite food? - 24 Ghanta Bangla News

Maa Sarada: সাদা বোঁদে আর জিলিপি ছিল অমৃত, সারদা মায়ের আর প্রিয় খাবার কী ছিল, জানেন? – Bengali News | What was Maa Sarada ‘s favorite food?

0

সারদা দেবীর ১৭১ তম জন্মতিথি উপলক্ষ্যে জয়রামবাটী, কামারপুকুর, বেলুরমঠে আজ অসংখ্য ভক্তের ভিড়। শুধু এই তিনজায়গায় নয়,বাংলার বহু জায়গাতেই সারদা দেবীর বিশেষ পুজো ও ভোগ বিতরণ করা হয়। পৌষ মাসের কৃষ্ণ সপ্তমী তিথিতে জয়রামবাটীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সারদাদেবী। কামারপুকুর ও জয়রামবাটী, উভয় জায়গাতেই শৈশব কাটে সারদা মায়ের। জানা যায়, মা সারদা ভক্ত ও মানুষকে নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াতে ভালোবাসতেন। রান্নাঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র নিজের হাতে সাজাতেও ভালোবাসতেন। তাছাড়া রামকৃষ্ণদেবের সহধর্মিনী সারদা দেবীর নানা কাহিনি কমবেশি সকলেই জানি। সারদাদেবীর হাতের বিভিন্ন রান্না খেতে ভালোবাসতেন ।

রামকৃষ্ণদেবের প্রতি স্বামী হিসেবে নয়, সারদা দেবীর ছিল অসীম বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। জানা যায়, মায়ের হাতের রান্না রাতের বেলায় খেতেন। নিজে হাতে বেড়ে খাওয়াতেন তিনি। তিনি মা ডাক শুনলেই ভক্তদের নানা বিপদে-আপদে, কাজে সাহায্য করতে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। পুজোআচ্চায় যেমন আকুল থাকতেন, তেমনি মানুষের কান্নায় ব্যাকুল হতেন তিনি। সকলের সঙ্গে মিশে কাজ করতে ভালবাসতেন। খাওয়াতে বড্ড পছন্দ করতেন। শুধু হিন্দুদের নয়, মুসলিমদেরও খাওয়াতেন, সেবা করতেন, এঁটো বাসন মাজতেন। নিজেকে সব কাজে নিয়োজিত করলেও কখনও কখনও মনেই হয়, তিনি সবকিছু আড়ালে থেকে কাজ করতে চাইতেন। সাধারণের মধ্যেও তিনি অসাধারণ।

কামারপুকুরের অতি জনপ্রিয় মিষ্টি হল জিলিপি ও আড়াই প্যাঁচের সাদা বোঁদে। অড়হর ডাল দিয়ে তৈরি এই জিলিপি আর কোথাও পাওয়া যায় না। এখানকার বোঁদেও তৈরি হয় এই ডাল দিয়ে। সারদা দেবী ও রামকৃষ্ণদেবের ছিল অতি পছন্দের মিষ্টান্ন। জানা যায়, মুড়ি দিয়ে বোঁদে খেতে বড্ড বেশি ভালবাসতেন। বাড়িতে অতিথি এলে তিনি বোঁদে আর মুড়ি দিয়ে খেতেও দিতেন।

এই খবরটিও পড়ুন

গ্রামবাংলার মেয়ে হওয়ায় পল্লীবাংলার মাঠে-ঘাটে পাওয়া শুষনি শাক ও আমরুল শাক ছিল মায়ের অতি পছন্দের খাবার। এই বিশেষ শাক শিলে বেটে চাটনি বানিয়ে ভাতের সঙ্গে খেতে মা পছন্দ করতেন। এইসব নিদের হাতেই রান্না করতে তিনি। শেষ বয়সে এসে প্রায় প্রতিদিনই এই শাকেক চাটনি খেতেন বলে জানা যায়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed

x