Uluberia Head Teacher: উন্মক্ত শরীরে নাচ, স্বল্পবসনার পাশে ভল্ট, ক্রিসমাসে ‘হেড স্যর’কে দেখে ঢি পড়ল গ্রামে – Bengali News | Uluberia head teacher: Allegation of drinking and dancing against school headmaster in Uluberia

উলুবেড়িয়া: বাবা স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিনি নাকি অসুস্থ। তাই তার হয়ে স্কুলে পড়াশোনা এবং সমস্ত দায়িত্ব বহন করছেন মেয়ে। খবর পেয়ে এ অভিযোগের অন্তর্তদন্তে নেমেছিল TV9 বাংলা। কিন্তু ক্রিসমাসের সন্ধ্যায় পাড়ার জলসায় ‘হেড স্যর’কে যে অবস্থায় দেখলেন গ্রামবাসীরা, তাতে রীতিমতো চোখ লজ্জায় নীচে নামাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। চটুল গানের সঙ্গে জামা খুলে নাচছেন প্রধান শিক্ষক। আর ডিগবাজিও খাচ্ছেন। তরুণী গায়িকার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন এক দৃষ্টিতে। আর হেড স্যরের এই নাচ দেখে রাগে ফুঁসছেন অভিভাবক তথা গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি শামপুর ১ নম্বর ব্লকের বিনোদচক তপশিলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
চন্দন দে স্কুলের প্রধান শিক্ষক। মঙ্গলবার ছিল “বুক ডে “। বছরের প্রথমেই রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে পড়ুয়াদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহণ করেছে। এদিন বিনোদচক তপশিলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল প্রধান শিক্ষক চন্দন দে স্কুলে উপস্থিত নেই , তাঁর পরিবর্তে মেয়ে রিয়া দে স্কুল সামলাচ্ছেন। ক্লাসে গিয়ে পড়াচ্ছেন। ছবি তুলতেই সাংবাদিকদের দিকে রীতিমতো তেড়ে এলেন তিনি।
শুধু তাই নয়, খবর সম্প্রচার রুখতে রীতিমতো পরিবারের লোকজনকেও ডেকে আনেন স্কুলে। রিয়া দে-র বক্তব্য, “বাবা অফিসের অনুমতি নিয়েই আমায় পাঠিয়েছেন। বাবা অসুস্থ তাই স্কুলে আসতে পারেননি। তাঁর হয়ে আমি পড়াচ্ছি, এটা গ্রামবাসী সকলেই জানেন। তাতে ক্ষতি কী? স্কুল তো কামাই করছেন না বাবা। বাবার কাজ আমি করে দিচ্ছি।”
এই খবরটিও পড়ুন
প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসা অবস্থায় ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধাক্কা মারেন রিয়া। স্কুল থেকে চন্দনের বাড়ি এক কিলোমিটার। স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে। চন্দন ছাড়াও একজন শিক্ষিকা রয়েছেন স্কুলে।
কিন্তু ‘হেড স্যর’ কোথায়?
এই ঘটনার বলতে গেলে বেশ কয়েকটি দিন পিছোতে হবে। গত ২৫ ডিসেম্বর ওই গ্রামেই ক্রিসমাস উপলক্ষে জলসা বসেছিল। তাতে স্টেজে চলছে চটুল নাচ। আর পাশে জামা খুলে কোমরে বেঁধে নেচে চলেছেন এক প্রৌঢ়। তিনি কে? ভাল করে দেখতেই গ্রামবাসীরা বুঝতে পারেন, আরে এ তো ‘হেড স্যর’। মদ্যপ অবস্থায় জামা খুলে স্টেজে চটুল গানে তরুণীর সঙ্গে নাচলেন স্যর। আর ‘ভল্ট’, ‘সামার সল্ট’ও দিলেন। দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ সকলের। তিনি নাকি অসুস্থ। খবর চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। এদিকে, স্কুলে আসেন না, তাঁর মেয়েকে পাঠান, আর তিনি স্টেজে মদ্যপ অবস্থায় নেমে বেড়াচ্ছেন!
অভিভাবকদের বক্তব্য, ” দীর্ঘদিন ধরেই প্রধান শিক্ষক চন্দন দে স্কুলে আসেন না। তাঁর পরিবর্তে মেয়ে রিয়া দে স্কুল চালান। কিছু জিজ্ঞেস করলে কটূক্তিও করেন। ভয়ে আর কিছু বলেননি কেউ।” তবে বিষয়টি নিয়ে অবর বিদ্যালয়ের পরিদর্শক নীলাঞ্জনা দির্ঘাঙ্গী বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনুমতি ছাড়া কোনও কথা বলব না।”