Recruitment Scam Case: চিনতেই পারবেন না OMR শিট, এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, বিস্ফোরক দাবি CBI-এর – Bengali News | OMR sheet made illegally, claims CBI in Recruitment Case

হাইকোর্টে নিয়োগ মামলাImage Credit source: GFX- TV9 Bangla
কলকাতা: যেভাবে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে সেটা ‘শকিং’। কলকাতা হাইকোর্টে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরে এমনটাই বলল সিবিআই। ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’র মাধ্যমে ওএমআর জালিয়াতি হয়েছিল বলে দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। অভিযোগ, এমনভাবে ওএমআর শিট তৈরি করা হয়েছিল, যাতে পরীক্ষাক্ষার্থীরা নিজেরাই নিজেদের কপি চিনতে না পারেন। কোনও অভিজ্ঞতা ছাড়াই ওএমআর ডিজাইন করা হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ওএমআর দুর্নীতির কথা আগেই মেনে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এবার আরও বেশি তথ্য তুলে ধরা হল আদালতে।
বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে ছিল নিয়োগ মামলার শুনানি। সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, নিয়োগ দুর্নীত যেভাবে ছড়িয়েছে সেটা শকিং। ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’র নাম সামনে এসেছে আগেই। এবার সিবিআই দাবি করল, ২০২২ সালে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট কোম্পানি হিসেবে কাজ করত এই সংস্থা, ডেটা প্রসেসিং সহ অন্যান্য কাজ করত। রাতারাতি অন্যা কাজ শুরু করে দেয় ওই সংস্থা। আবার পরে দেখা যায়, কোম্পানিতে কোনও কর্মীই নেই।
সিবিআই-এর আরও দাবি, বেআইনিভাবে বোর্ডের অনুমতি ছাড়াই এই কোম্পানির এক কর্মী কৌশিক মাজি ওএমআর শিট ডিজাইন করেন। ২০১৮ সালে সব ওএমআর ওড়িশার বালেশ্বরের পেপার মিলে বিক্রি করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
এই খবরটিও পড়ুন
ইতিমধ্যেই একটি অবৈধ পোর্টালের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। সংস্থার দাবি, এমন ভাবে ওএমআর ডিজাইন করা হয়েছিল, যাতে কোনও প্রার্থী তাঁদের পরীক্ষার কপি চিনতেই না পারেন। কার কী ফল হয়েছে, তা প্রমাণ সহ পেশ করতে পারবেন না তাঁরা।
এই মামলার সূত্রে, মহিদুল আনসারি, জফিকউল ইসলাম, দেবরাজ চক্রবর্তী, বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত , সজল করের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা আরও জানিয়েছে, অয়ন শীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে সব তথ্য মিলেছে, সেগুলি আপাতত প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না।