Witch slander: অসুস্থতাই হল কাল, ২ প্রতিবেশীর মৃত্যুতে পড়শিরা দিলেন বিশেষ অপবাদ, ২ বছর ধরে অসম লড়াইয়ে আদিবাসী মহিলা – Bengali News | Witch slander There is a complaint that the woman in the village has been accused of being a witch and kept in solitary confinement

ডাইনি অপবাদে একঘরেImage Credit source: TV9 Bangla
পশ্চিম মেদিনীপুর: ডাইনি অপবাদে ২ বছর এক ঘরে পরিবার, সামাজিক ভাবে বয়কট করা হয়েছে তাঁদের। ৫০ হাজার টাকা না দিলে সমস্যার সমাধান করা হবে না বলে জানিয়েছেন গ্রামের মোড়লরা। সমস্যার সমাধান কথা পুলিশ থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা দু’নম্বর ব্লকের নীলগঞ্জ গ্রামে।
জানা গিয়েছে, দুই বছর আগে গ্রামের এক নাবালক ও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়, শারীরিক অসুস্থতার কারণে, তারপর থেকেই গ্রামের বেশ কিছু মানুষজন ওই গ্রামেরই এক আদিবাসী মহিলাকে ডাইনি অপবাদ দেয়। তারপর থেকেই ওই মহিলাকে বিভিন্নভাবে অপবাদ দিতে থাকে আদিবাসী সমাজের মানুষজনরা। এমনকি ওই গ্রামের বেশ কিছু মোড়ল নিদান দেন পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। তারপরে সমস্যার সমাধান নিয়ে মীমাংসায় বসবেন তাঁরা। কিন্তু পঞ্চাশ হাজার টাকা না দেয়ার কারণে, সমস্যার সমাধানও হয়নি।
প্রায় দুই বছর ধরে সামাজিকভাবে বয়কট হয়ে রয়েছে আদিবাসী ওই পরিবার। অভিযোগ, তারপর থেকেই মাঝেমধ্যে চলে মানসিক অত্যাচার, বাড়ি ভাঙচুরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওই মহিলার। গোটা ঘটনায় অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছেন মহিলা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আদিবাসী মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামী অসুস্থ, তাঁকে রেখে আসতে হয়েছে আত্মীয়ের বাড়িতে। ছেলে মেয়েরাও লেখাপড়া করে, গ্রামের এই পরিস্থিতির জন্য অধিকাংশ দিন তাঁরা আত্মীয়ের বাড়িতে থাকেন।
এই খবরটিও পড়ুন
ওই মহিলার কথায়, “আমি ডাইনি নই। আমি সকলের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করতে চাই। সমস্যার সমাধান করে দিন।” পুলিশ থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন মহিলা। কিন্তু এখনও সুরাহা মেলেনি।
তবে ওই গ্রামের মুখ্য দুখিরাম সরেন বলেন, “গ্রামের সবার সাথে আলোচনা করে দেখব বিষয়টি সমাধান করা যায় কিনা।” এ বিষয়ে আদিবাসী সংগঠন তথা ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহলের নেতা, দেবেন্দ্র মুর্মু বলেন, “দ্রুত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে, কিছু মানুষের মধ্যে এখনও কুসংস্কার থেকে গিয়েছে।”
অপরদিকে চন্দ্রকোনা দুই নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অলোক ঘোষের দাবি, “গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখা হবে। সচেতনতামূলক প্রচারও চালানো হবে।”