Muhammad Yunus: দোষী সাব্যস্ত, ৬ মাসের কারাদণ্ড নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদের! – Bengali News | Bangladesh Nobel laureate Muhammad Yunus sentenced to 6 months in jail
আদালতের বাইরে মহম্মদ ইউসুফImage Credit source: PTI
ঢাকা: বাংলাদেশে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ছয় মাসের কারাদণ্ড হল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, মহম্মদ ইউনূসের। শুধু তাই নয়, দুই মামলা মিলিয়ে তাঁকে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। সোমবার ঢাকার এক শ্রম আদালত এই রায় দিয়েছে। গ্রামীন টেলিকম নামে এক টেলিকম সংস্থার চেয়ারম্যান ইউনুস। শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগটি এই সংস্থা সম্পর্কিত। শুধু ইউনুসই নন, একই মামলায় শাস্তি দেওয়া হয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম এবং মহম্মদ শাহজাহানকে।
কারাদণ্ড হলেও, এখনই কারাগারে যেতে হবে না ইউনূসকে। পাঁচ হাজার টাকার বন্ডে আদালত তাঁকে ৩০ দিনের মধ্যে এই সাজাকে চ্যালেঞ্জ করার অনুমতি দিয়েছে। ফলে কারাবাস এড়াতে, আগামী একমাসের মধ্যে তাঁকে শ্রম ট্রাইবুনালে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালেই বাংলাদেশের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর মহমমদ ইউনুস ও বাকিদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছিল।
তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী, লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ সংস্থাগুলিকে কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষণ করতে হয়। কিন্তু, বেনিয়ম করে শ্রমিকদের সেই লভ্যাংশ দেয়নি গ্রামীন টেলিকম। এছাড়া, ১০১ জন কর্মীর চাকরি স্থায়ী করেনি তারা। এছাড়া ছুটি না দেওয়া, শ্রমিক কল্যাণ তহবিল এবং শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল গঠন না করার অভিযোগও ছিল ইউনুস এবং অন্যান্য সাজাপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে। চলতি বছরের জুন মাসে এই মামলার চার্জশিট গঠন করা হয়েছিল। এরপর ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে শুনানি। ওই দিনই রায় আদালত জানিয়েছিল রায় ঘোষণা করা হবে পয়লা জানুয়ারি।
এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন ইউনূস। রায় জানার পর, তিনি ঘুরিয়ে সরকারকে নিশানা করেছেন। মহম্মদ ইউনূস বলেছেন, যে দোষ তিনি করেননি, সেই দোষেরই শাস্তি দেওয়া হল তাঁকে। তিনি বলেন, “এটা আমাদের কপালে ছিল, জাতির কপালে ছিল, আমরা সেটা বহন করলাম।” ইউনূসের আইনজীবী শুনানি প্রক্রিয় নিয়ে প্রস্ন তুলেছেন। ইউনূসের মামলাটি যত দ্রুত শুনানি হয়েছে, তা বাংলাদেশের লেবার কোর্টের ইতিহাসে কখনও হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। এমনকি, রাত আটটা পর্যন্ত আদালত খোলা রাখা হয়েছে। তিনি রায়কে ‘অন্যায় এবং আইন বিরোধী’ বলেছেন। সরকার কিছু প্রমাণ না করেই শাস্তি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। অন্যদিকে, সরকারি আইনজীবীর দাবি, এই রায়ের ফলে, ভবিষ্যতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মালিকরা এই ধরণের আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সতর্ক হবে।