Afterlife: স্পন্দনহীন দেহ! ৪০ মিনিট 'যমালয়ে' কাটিয়ে অলৌকিক সব ঘটনার সাক্ষী এই মহিলা - Bengali News | A lady of UK returns to life after remaining clinically dead for around 40 minutes - 24 Ghanta Bangla News

Afterlife: স্পন্দনহীন দেহ! ৪০ মিনিট ‘যমালয়ে’ কাটিয়ে অলৌকিক সব ঘটনার সাক্ষী এই মহিলা – Bengali News | A lady of UK returns to life after remaining clinically dead for around 40 minutes

0

ইয়র্কশায়ার: যমের দুয়ার থেকে বেঁচে ফিরে আসার ঘটনা তো অনেক শুনেছেন। কিন্তু একেবারে যমালয়ে ঢুকে, সেখানে ঘুরে-ফিরে , বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে, সেখানকার খাতির-যত্ন নিয়ে আবার বেরিয়ে আসা? এরকম কখনও শুনেছেন? এরকমই হয়েছে লন্ডনের ইয়র্কশায়ারের বাসিন্দা কার্স্টি বোর্টফ্টের সঙ্গে। যমালয়ে ঢুকে, সেখান থেকে আবার বেরিয়ে এসেছেন। মৃত্যু হয়ে গিয়েছিল। একেবারে সত্যিকারের মৃত্যু। চিকিৎসার পরিভাষায়, মৃত্যু বলতে যা বোঝায়, ঠিক তাই। যাকে বলে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’। কিন্তু কোনও এক অদ্ভুত জাদুবলে প্রায় ৪০ মিনিট মৃত অবস্থায় পড়ে থাকার পর আবার বেঁচে উঠেছেন সেই মহিলা।

নর্থ ইয়র্কশায়ারের স্কারবোরো এলাকার বাসিন্দা কার্স্টি বোর্টফ্ট। বিবাহিতা। বাড়িতে স্বামী আছে। তিন সন্তানও আছে। সেই রাতে স্বামী স্টু’য়ের সঙ্গে একটা সুন্দর সময় কাটানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠেনি। স্বামী ঘরে ঢুকতেই দেখেন, কার্স্টি সোফায় পড়ে রয়েছেন। নিথর। স্পন্দনহীন দেহ। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরাও হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। কার্ডিয়্যাক অ্যারেস্ট হয়েছিল কার্স্টির। আর তারপর থেকেই কোমায় ছিলেন। ডাক্তাররা স্বামীকে বলে দিয়েছিলেন, মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে, বিশেষ কিছু করার নেই আর। এ যাত্রায় কার্স্টিকে আর ফেরানো সম্ভব নয় বলেই জানিয়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সব প্রতিকূলতাকে ছাপিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে ‘মৃত’ কার্স্টি আবার বেঁচে ফিরে আসেন। জেগে ওঠেন কোমা থেকে।

সেই ৪০ মিনিটে কার্স্টির সঙ্গে কী হয়েছিল? বেশ কিছু অদ্ভুত অনুভূতি টের পেয়েছিলেন কার্স্টি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য মেট্রোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কার্স্টি দাবি করেছেন, তিনি ওই সময় বিভিন্ন ধরনের জিনিস দেখতে পেয়েছিলেন। তাঁর ত্বকের মধ্যে অদ্ভুত কিছু প্যাটার্ন দেখতে পাচ্ছিলেন। যা সব ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন তিনি ওই ৪০ মিনিটে, তা একেবারেই তাঁর সিলেবাসের বাইরের।

কার্স্টির এক বন্ধু আছেন, যিনি বিভিন্ন পারলৌকিক বিষয় নিয়ে চর্চা করেন। নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার পর কার্স্টি জানতে পারেন, সেই সময় তাঁর বোন ওই বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সেই ৪০ মিনিট কী হয়েছিল, কার্স্টির ওই বন্ধু পরবর্তীতে তাঁকে জানিয়েছিলেন। কার্স্টির বোনই ওই বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, জানতে চেয়েছিল দিদির সঙ্গে কী হচ্ছে। কার্স্টির দাবি, সেই সময় ওই বন্ধু জানিয়েছিলেন, কার্স্টির আত্মা নাকি তাঁর কাছে গিয়েছিল। তাঁর বাড়িতে। কার্স্টি তাঁর বাবার জন্য ও নিজের সন্তানদের জন্য কী কী করতে চান, সেই তালিকা বানানোর জন্য নাকি ওই আত্মা অনুরোধ করেছিল। দ্য মেট্রোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কার্স্টির ওই আত্মা নাকি তাঁর বন্ধুকে বলেছিল, তাঁর শরীর ভেঙে পড়ছে এবং বাঁচার সম্ভাবনা যে আর নেই, সে কথাও জানিয়েছিল। কিন্তু ওই বন্ধু নিজেকে শক্ত রেখেছিলেন এবং তাঁকে ফিরে যেতে বলেছিলেন। এই গোটা ঘটনাটি ঘটেছিল, যখন নাকি কার্স্টির প্রাণহীন দেহ হাসপাতালে পড়ে ছিল।

এদিকে কার্স্টির যখন জ্ঞান ফেরে, যখন তিনি আবার কোমা থেকে জেগে ওঠেন, তখন আর এক ‘অলৌকিক’ কাণ্ড। অদ্ভুতভাবে দেখা যায়, স্ক্যানের রিপোর্টে কার্স্টির হার্টে কিংবা ফুসফুসে প্রায় কোনও সমস্যাই নেই। দ্য মেট্রোকে কার্স্টি বলেছেন, “আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি মারা যাব না। শুধু মানুষের শরীরটা চলে যায়। কিন্তু কাজ তখনও বাকি থেকে যায়।”

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed