Congress: জোটের ‘ঘোঁট’ কংগ্রেসেই? অধীর-ডালুর তরজা থামছেই না – Bengali News | Maldah dakkhin congress MP Abu Hasem khan chowdhury Dalu not accept adhir chowdhury comment on alliance issue
আবু হাসেম খান চৌধুরী ও অধীর চৌধুরী। Image Credit source: TV9 Bangla
মালদহ: বাংলায় ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা প্রথম থেকেই। আর সেই ধোঁয়াশার দ্বন্দ্ব বাড়ছে কংগ্রেসের অন্দরেই। একদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী যখন বলছেন, তাঁরা কারও মুখাপেক্ষী নন। তখন মালদহ দক্ষিণের বর্ষীয়ান কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালুর মন্তব্য, “অধীর চৌধুরী কে? জোট চাইছে কংগ্রেস। এআইসিসি নির্দেশ দিলে অধীর চৌধুরীকেও মানতে হবে।” অধীর চৌধুরী যতই তৃণমূল বিরোধিতায় গলা চড়াচ্ছেন, ততই তৃণমূলের সঙ্গে জোটের পক্ষে সওয়াল করছেন ডালু।
বঙ্গে জোট অঙ্কে নারদ-নারদ চলছেই। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস কি হাত মেলাবে, তা নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যেই দ্বিধাদ্বন্দ্বের শেষ নেই। এমনকী কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালু জোট নিয়ে এক তত্ত্ব শোনাচ্ছেন, আর তা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। মালদহ দক্ষিণের পর পর তিনবারের সাংসদ ডালু। তিনি প্রথম থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে জোটের পক্ষে সওয়াল করছেন। অন্যদিকে অধীরের দাবি,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জোট চান না।
অধীর চৌধুরী বলেন, “বাংলায় কংগ্রেস লড়ছে নিজের মতো করে। তৃণমূল কোথায় আলোচনা করছে, সেটা তৃণমূলের ব্যাপার। ওরা বলে দিয়েছে দেশে ওরা লড়ছে, বাংলায় নয়। আমাদের কিছু যায় আসে না এতে। কে এল, কে গেল কিছু যায় আসে না।” কিন্তু ডালু কোনওভাবেই অধীরের বক্তব্যে সহমত নন।
ফিরহাদ হাকিমও যে অধীরের মন্তব্য মানতে নারাজ, বুঝিয়ে দিয়েছেন। অধীরের নাম না করেই ফিরহাদ বলেন, “অধীর চৌধুরী কার প্ররোচনায় এই ধরনের কথা বলছেন? নিজের বহরমপুর লোকসভার অধীনে থাকা সব বিধানসভা বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছেন। যখন ২১ জুলাই গুলি চালিয়েছিল সিপিএম, তখন আমাদের হাতে কংগ্রেসের পতাকা ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছেন। সেই সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন অধীর চৌধুরী। ডালুবাবু বুঝতে পারছেন অধীর চৌধুরী যা বলছেন তা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। সে কারণেই দল থেকে প্রতিবাদ আসছে।”
তবে এই জোট-ইস্যুতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী অধীরের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “গোটা ভারতে বিজেপির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তবে বাংলার বাইরে তো তৃণমূল কোথাও নেই। বিজেপিকে সাহায্য করতে মাঝেমধ্যে যায়। আর বাংলায় বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট হতে হবে। এর বিকল্প নেই।” অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের খোঁচা, “জোট আবার কী, ওটা একটা ঘোঁট।”