Barrackpore Doctor Murder: হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে CID-এর ভূমিকা, চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপার রহস্যমৃত্যুতে নিম্ন আদালতের বিচার স্থগিত – calcutta high court give stay on lower court process on barrackpur doctor pragyadipa haldar death case
সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে ব্যারাকপুরের চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের রহস্যমৃত্যুর মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পর ঘটনা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিচারপতি। প্রজ্ঞাদীপা হালদারের মৃত্যুর মামলায় চিকিৎসক তাঁর লিভ-ইন পার্টনার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু অভিযোগ, হাইকোর্টে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার নামে সময় চাওয়া হচ্ছে এদিকে নিম্ন আদালতে নতুন চার্জশিট দেওয়া নিয়ে কোনও আবেদন না করার অভিযোগ। হাইকোর্টের নির্দেশ নিম্ন আদালততে না জানানোরও অভিযোগ সিআইডি-এর বিরুদ্ধে।
এই সব শুনে রেগে গিয়ে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘এটা কি ছেলেখেলা হচ্ছে! কেনও নিম্ন আদালতের বিচার স্থগিত করব না?
একদিকে আরও তদন্ত করার কথা বলে হাইকোর্টে সময় নিচ্ছে, অন্য দিকে নিম্ন আদালতে চার্জ ফ্রেম হচ্ছে। এটা কি ইয়ার্কি? ২ জায়গায় দুরকম স্ট্যান্ড!’ এর সঙ্গেই বিচারপতি বলেন, ‘বিচারের স্বার্থে নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। এই সময়ের মধ্যে সিআইডি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেবে।’ এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ অক্টোবর।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুন চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের দেহ উদ্ধার হয় ব্যারাকপুর সেনা ছাউনির অফিসার্স কোয়ার্টার্স ‘ম্যান্ডেলা হাউস’-এর ২০ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে । জাগুলিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ছিলেন তিনি। লেখিকা হিসেবেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছিল তাঁর স্বতন্ত্র পরিচিতি। মৃতার পরিবারের অভিযোগ ছিল তাঁর লিভ ইন পার্টনার প্রজ্ঞাদীপাক মৃত্যুর জন্য দায়ী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হন ভারতীয় সেনার চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারী। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে আছেন। সুইসাইড নোটেও প্রজ্ঞাদীপা দায়ী করেছিলেন কৌশিককে। সেই নোট ও পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে কৌশিককে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তে একাধিক গাফিলতি আছে বলে এর আগে চিহ্নিত করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্তে যথেষ্ট ফাঁক রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ ছিল আদালত। উল্লেখ্য, প্রজ্ঞাদীপা হালদারের দেহে ছিল ১৪টি ক্ষত। তাতে কেন খুনের ধারা যোগ হয়নি সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আদালত।